পর্তুগালের এক একটি বাসা যেন ছোট্ট ছোট্ট মসজিদ

পর্তুগালের বুকে যেন একখণ্ড বাংলাদেশ রাজধানী লিসবনের এক একটি বাসা যেন ছোট ছোট মসজিদে পরিনত হয়েছে । এবারের রমজান অন্য সব বছরের চেয়ে একেবারেই আলাদা। রমজান ঘিরে মুসলিম বিশ্বের কোথাও কোনো আমেজ নেই। এ মাসে ইফতার মাহফিল, সেহরি ও তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলিম সমাজে যে হৃদ্যতা, পরস্পরের সাক্ষাতের এবং কাছে আসার ব্যাপার লক্ষ করা যায়, এবার আর তা হচ্ছে না।

২০২০ সালের এই রমজান ঘর ছেড়ে বাইরে না যাওয়ার, পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখার। তবে পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশী নাগরীকরা মসজিদে গিয়ে তারাবির নামাজ আদায় না করতে পারলে ও প্রত্যেকটি বাসা যেন একি একটি মসজিদে পরিনত হয়েছে ।

খবর নিয়ে জানা যায় লিসবনের যেসব বাসায় কোনো একজন সদস্য হাফেজ রয়েছেন, অথবা কোনো একজন হাফেজ সাহেবের খেদমতের ব্যবস্থা করা গেছে, সে বাসাতেই ঘরোয়াভাবে খতম তারাবির সূচনা হয়েছে । যেখানে হাফেজ সাহেব নেই, কিন্তু সহিহভাবে কিছু তেলাওয়াত করার যোগ্য একজন মানুষ রয়েছেন, সেসব বাসায় সুরা তারাবি হয়েছে । অনেকেই একা একা তারাবি পড়েছেন বাসায়।কারন পবিত্র এই মাস কল্যাণময়ী। এই মাস  কোরআন নাজিলের। এই মাস তাকওয়া, সংযম, সবরের। এই মাস মহান রবের নৈকট্য অর্জনের, তাঁর ভালোবাসায় নিজেকে বিলীন করার।

 শুধু পর্তুগালে নয় বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম জাতির জন্য ২০২০ সালের রমজান ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে ।

পরিশেষে বলা যায় করোনা ভাইরাস যেন রমজানের মুখরিত চিত্রটাই পাল্টে দিয়েছে। জীবন ঘরবন্দি হলেও তারাবি ও ইবাদত থেকে নিজেদের গাফেল রাখতে রাজি নন নিষ্ঠাবান মুসল্লী রোজাদাররা। রমজানের প্রথম রাতের তারাবিতে এ চিত্রটাই ফুটে উঠেছে। 

আপাতত লিসবনের বাঙ্গালী অধ্যুষিত মাতৃমনিজ এলাকায় যাওয়া, স্বজনের বাসায় যাওয়া বাদ দেই, অপরিচিতদের সঙ্গে নামাজ না পড়ে বাসার ভেতর নামাজ আদায় করি, সবার মঙ্গলের জন্য বাসাতেই থাকি। একবার ভাবুন তো, আপনার হেয়ালি বা খামখেয়ালির জন্য এতোগুলো মানুষকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করলে আল্লাহ কি আমাদের ক্ষমা করবেন?