‘কবি লাভলী চৌধুরী তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন’

আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠক নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র সিলেট সুরমা নন্দিনীর -এর প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট কবি লাভলী চৌধুরী স্মরণে সুরমা নন্দিনী সাহিত্য পাঠচক্র আয়োজিত শোকসভা গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সুরমা নন্দিনীর সভাপতি গল্পকার জামান মাহবুব এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবি হোসনে আরা কলির সঞ্চালনায় এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য এম আলী হোসাইন-এর কুরআন তেলাওয়াত ও স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর নির্বাহী সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- কবি লাভলী চৌধুরী বিনম্র প্রকৃতির লেখক ও সংগঠক ছিলেন। তিনি সিলেটে রক্ষণশীল পরিবেশে সেই সময়ে সিলেটের মহিলাদের সাহিত্যে ও সংস্কৃতি অঙ্গনে সংশ্লিষ্ট ও সক্রিয় করার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। তাঁর সৃষ্টিশীল সাহিত্য রচনার মাধ্যমে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর চিন্তাচেতনায় সৌন্দর্যের একটা পরিস্ফুটন ছিল। যা তাঁর সাহিত্যে প্রতিভাত হয়েছিল। একজন ধীমান লেখিকা হিসেবে তিনি আধুনিকতাকে আদর্শবাদিতায় রূপান্তর করতে সচেষ্ট থেকেছেন। সভাপতির বক্তব্যে গল্পকার জামান মাহবুব বলেন, কবি লাভলী চৌধুরী মানবিকবোধ সম্পন্ন একজন লেখিকা ছিলেন। সাহিত্যকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনায় তিনি ছিলেন আদর্শের অনুগামী। ব্যক্তি জীবনেও তিনি ছিলেন সেই আদর্শের প্রচারক। তিনি যেমনি আধুনিকতাকে ধারণ করেছেন মননে, তেমনি সার্বজনীন চিন্তায় বিশ্বাসবোধকে পরিস্ফুটিত করে তুলেছেন। তাঁর সাহিত্যে সৌন্দর্য এবং বিশ্বাস একীভূত হয়ে গিয়েছিল। এই দুটো বিষয়ের সমন্বয়ে তিনি নিজেকে সাহিত্যাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সিলেটের সাহিত্যাঙ্গণে তিনি নারী সমাজের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রাচীন সাহিত্য পত্রিকা আল ইসলাহ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আওয়াল, রাজনীতিবিদ ও ছড়াকার জগলু চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এডভোকেট কবি আবদুল মুকিত অপি, কবি ধ্রুব গৌতম, কবি মাসুদা সিদ্দিকী রুহি, কবি শামীমা আক্তার ঝিনু, মো: নাসির উদ্দিন। কবিতা পাঠ করেন- কবি বিনতা দেবী, কবি সেনোরা আক্তার চিনু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কবি লিপি খান, এমরান ফয়ছল, সুমন চৌধুরী, আবু সুফিয়ান আজম প্রমুখ।