বড়লেখায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৩১) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরই পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল কাদির বাবুলকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগের দিন রোববার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত বাবুল বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে পরিচয়ের সুবাধে অভিযুক্ত আব্দুল কাদির বাবুল তাদের বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন। এতে গৃহবধূর ওপর কুদৃষ্টি পড়ে বাবুলের। বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্প্রতি গৃহবধূর স্বামী বাবুলকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন এবং তার সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দেন। গত ৯ নভেম্বর রাতে গৃহবধূর স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত বাবুল বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এসময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে পরিবারের সবাই এগিয়ে এলে বাবুল পালিয়ে যান। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি বড়লেখা থানায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদির বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী জানান, পরিচয়ের সুবাধে অভিযুক্ত আব্দুল কাদির বাবুল আমাদের বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতো। এতে তার কুদৃষ্টি আমার স্ত্রীর ওপর পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি বাবুলকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করি এবং তার সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দিই। গত ৯ নভেম্বর আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে বাবুল আমার ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। আমার স্ত্রী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে এক গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল কাদির বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।