শ্রীমঙ্গল ৬৪ হাজার ৬৫২ ঘনফুট বালু জব্দ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বৃহস্পতিবার দিনভর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন। অবৈধ বালুমহাল থেকে বালু লুটকারীরা খননযন্ত্র ফেলে পালিয়ে গেলেও জব্দ করা হয় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ খননযন্ত্র, খননের কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম। একটি পয়েন্ট থেকে খননযন্ত্র জব্দের পাশাপাশি একটি ট্রাকসহ ৬৪ হাজার ৬৫২ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামাল শ্রীমঙ্গল থানা হেফাজতে রক্ষিত আছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নেছার উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি শামীম অর রশিদ তালুকদার।

জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় সিলিকা বালু উত্তোলন নিয়ে উচ্চ আদালতের ছিল নিষেধাজ্ঞা। এ সুযোগে বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীমহলকে মোটা অংকের মাসোহারা প্রদান করে প্রকাশ্যে সরকারি বালু হরিলুট চলছে। উপজেলার ভূনবীর, শাসন, মির্জাপুর ও বৌলাশীর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে হাইলহাওরের ফসলি জমি, বসত ভিটের আশপাশের ক্ষেতের জমির ও বাড়ীর পুকুর খননের নামে মূল্যবান মেশিন লাগিয়ে সিলিকা বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী বালুসিন্ডিকেট চক্র। ভূনবীর-মির্জাপুর সড়কে ও ভুনবীর তেমুহনা,সাতগাঁও স্টেশন চৌমুহনা এলাকায় বেশ কয়েকটি স্পর্টে কোটি কোটি টাকা দামের সিলিকা বালু প্রকাশ্যে ট্রাক, কভার্ডভ্যান গাড়ীতে লোডকরে বিক্রি করছে। সিলিকাবালু বিক্রি করে একেকজন বালু ব্যবসায়ি অল্পদিনে রাতারাতি গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়ে কোটিপতি বনেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ,ওই সংঘবদ্ধ চক্র আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর ধরে উপজেলার সাতগাঁও লছনা নামক স্থান থেকে সাতগাঁও স্টেশন চৌমুহনা ও ভুনবীর চৌমুহনা থেকে মির্জাপুর ইউনিয়নের বৌলাশীর পর্যন্ত ও উদনাছড়া ও বিলাসছড়ার মতিগঞ্জ এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে অসংখ্য বালুর স্তুপ করে ডিপো করে কোটি কোটি ঘনফুট বালু বিক্রি করছে।

শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নেছার উদ্দিন বলেন, এ অপরাধের সাথে যুক্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি আরও বলেন,অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিতই অভিযান চলছে। যখননি অভিযোগ পাই, তখননি অভিযান চালাই। বালু ব্যবসায়ীরা জরিমানা পাত্তা দেয় না। এর আগে আহাদ মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। এক বছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে বালুখাতে কোটি টাকার ওপরে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বালু মহাল ২৮টি রয়েছে। তার মধ্যে ২টি বালু মহাল লিজ প্রদান করা হয়েছে।