কুরআন-হাদিসের সাংঘর্ষিক কোনো আইন সরকার পাশ করবে না

কুরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন সরকার পাশ করবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কুরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন সরকার পাশ করেনি, করবে না। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াদা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত ইসলাম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সংসদে শাস্তির আইন পাসের দাবিতে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তিনি পাক্কা মুসলমান। তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন। কুরআন তিলাওয়াত করেন। তিনি দেশের ক্ষমতায় বসার আগে কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ পর্যন্ত তিনি কুরআন-সুন্নাহর বাইরে কোনো কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি না। আলেম উলামাদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রীও শফী সাহেবকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। আপনাদের নিয়ে চিন্তা করেন। আপনাদের যে ভুল ধারণা আছে—আপনার উপলব্ধি করতে পারবেন, আসলেই এগুলো ভুল ধারণা।

সম্মেলনে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে যে কারণেই হোক দেশে হেফাজতের ডাকে হারতাল পালিত হয়েছে। এ হরতালকে কেন্দ্র করে কিছু দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ ছাত্রদের মাঝে কিছু বিশৃঙ্খলাকারী অনুপ্রবেশ করে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর করেছে। মাদ্রাসার ছাত্ররা কখনোই এর সঙ্গে যুক্ত ছিল না। মাদ্রাসায় কারো জানমালের ক্ষতির শিক্ষা দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ আলেম-ওলামাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হেফাজত তাদের মুক্তি চায়।

পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, হেফাজত অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হলে অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে সাবধান থাকা উচিত। হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত নয়- এমন সাধারণ আলেমদের মুক্তির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়াটা ত্বরান্বিত করবে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে বিশ্বাস করি। আমি কুরআন সুন্নাহকে মেনে চলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের নবিজির নামে বা কুরআনকে কেউ যদি অপবিত্র করার প্রচেষ্টা করবে আপনাদের হৃদয়ে যেমন কষ্ট লাগে তেমন আমার হৃদয়েও কষ্ট লাগে। এজন্যই আমি বলি আমরা কারো বিশ্বাসের প্রতি আমরা অমর্যাদা করি না এবং করতে দিবো না। এটা আমাদের কথা। আমাদের আইনের কথা।

সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জি, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।