ছাতকে কলেজছাত্র হত্যায় ৩ সহপাঠীর যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় দেন। রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আল আমিনের সহপাঠী একই উপজেলার ছনুয়া গ্রামের আক্কাস মিয়া, মৌজরাই গ্রামের আজিজুল ইসলাম ও লক্ষ্মণসোম গ্রামের সাইদুল হক। আক্কাস মিয়া ও আজিজুল ইসলাম পলাতক।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খায়রুল কবির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর দোয়ারাবাজার উপজেলার পলিরচর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিনকে হত্যা করা হয়। তখন তিনি জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের সফিক উদ্দিনের বাড়িতে থেকে তিনি পড়াশোনা করতেন। ঘটনার দিন দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে আল আমিনের সঙ্গে তার সহপাঠী আক্কাস মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও সাইদুল হকের ঝগড়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি পরদিন মীমাংসা করে দেবেন বলে জানান।

পরে আল আমিন নিজ বাড়ি দোয়ারাবাজার উপজেলায় যেতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বড়কাঁপন এলাকায় গিয়ে টেম্পোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন আক্কাস মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও সাইদুল হক সেখানে গিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা আনফর আলী ওরফে কাছা মিয়া বাদী হয়ে ওই দিনই আক্কাস মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও সাইদুল হককে আসামি করে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ২০১৭ সালে ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় আদালতে ২৩ জন সাক্ষ্য দেন। আজ রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি সাইদুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।