ছাতকে টিকটক করতে গিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুতে টিকটক ভিডিও ধারণ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সায়মন (১৩), তাহসিন (১৬), তানজিদ (১৪) সহ কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া আহত হুশিয়ার আলী (৪০), আবু তালেব (১৫), দেলোয়ার হোসেন(৩৬), রাব্বানী মিয়া (১৮)সহ অন্যান্য আহতদের দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাতকের সুরমা নদীতে নির্মিত সেতুতে পর্যটকরা নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করেছেন। ঈদ উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের ভিড়ে এ সেতুটি অস্থায়ী পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে গত কদিন ধরে। এরই মধ্যে সেতুতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বখাটেদের আনাগোনাও। প্রতিদিনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন নাম নিয়ে গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সেতুতে আগত দর্শকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেল ৫ টার দিকে পৌর এলাকার বাশখালা ও নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন গ্রামের দু কিশোরের মধ্যে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারন ও ছবি তোলা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করে।

এক পর্যায়ে তারা টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।