চুরির ১৯ ঘন্টার মধ্যেই অক্ষত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করলো পুলিশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কৌলা গ্রাম থেকে রাতের আঁধারে ৩ বছরের একটি শিশুকে চুরি করার ঘটনার ১৯ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশি তৎপরতায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বাচ্চাটি। এ বিষয়ে ছেলের চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কৌলা গ্রামের নানা আকবর মিয়ার বাড়ি থেকে সিঁদ কেটে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যায় জুড়ি উপজেলার উত্রসাগরনাল গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে মাজেদ আহমদ মজনু।

ওইদিন রাতেই পুলিশকে খবর দেয় চুরি হওয়া ছেলে মাহিন এর আত্মীয়-স্বজনরা। পুলিশ তৎপর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাতে থাকলে এক পর্যায়ে শিশু বাচ্চাটিকে জুড়ির কাপনা পাহাড় এলাকায় একটি দোকানে সুকৌশলে রেখে পালিয়ে যায় মজনু ও তার সহযোগীরা। সেখান থেকে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে শিশুটির মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।

এ বিষয়ে শিশুটির চাচা, টিলাগাঁও ইউনিয়নের সন্ধ্যাবাগ গ্রামের মৃত ছইদ উল্যার ছেলে লোকমান মিয়া বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে ও আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের আকবর মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের বিয়ে হয় একই উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসী মর্তুজ মিয়ার সাথে। মর্তুজ মিয়া দুবাই চলে গেলে তার স্ত্রী লিজা আক্তার কৌলায় বাবার বাড়িতে দুই বছর থেকে ছেলে মাহিনকে (৩) নিয়ে বসবাস করছেন। সেখান থেকে রাতে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। দরজা খুলে শিশুটিকে নিয়ে যাবার সময় ঘরের লোকজন জেগে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।