সাকিবের বিকল্প নেই: পাপন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে করোনা আক্রান্ত সাকিব আল হাসান এখন সুস্থ আছেন। করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আজও পরীক্ষা করা হবে। যদি নেগেটিভ হয়, তখন চিন্তা করবো কি করা যায়।

শুক্রবার (১৩ মে) সকালে কক্সবাজার যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নেমে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে শ্রীলংকা দল গত ৮ মে বাংলাদেশে আসে। চট্টগ্রামে রোববার (১৫ মে) থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ২৩ মে থেকে। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সাকিব নেগেটিভ হলে হয়তো চট্টগ্রামে আসবে। তবে খেলতে পারবে কি পারবে না-এটা বলা মুশকিল। কারণ কোভিড থেকে সেরে উঠলে শারীরিক অবস্থা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই নির্ভর করে। আমরা দোয়া করছি, সাকিব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক; তাড়াতাড়ি দলের সাথে যোগ দিক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, যে যত কথাই বলি-আমাদের এখানে সাকিবের সাবস্টিটিউট (বিকল্প) নেই। এটা হলো রিয়্যালিটি (বাস্তবতা)। এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। যদি সাকিব না খেলে, তাহলে একটা বোলার কম খেলাতে হয় অথবা একটা ব্যাটসম্যান কম খেলাতে হয়। শ্রীলংকার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে খেলেই আমাদের জেতার চেষ্টা করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাটটিতে আমরা অতটা ভালো না। ওডিআইতে (একদিনের আন্তর্জাতিক) ভালো করছি কিন্তু টেস্টে অনেক দূর এগোতে হবে। সমস্যা হচ্ছে-যে পরিমাণ খেলা এখন, আগে কয়টা টেস্ট খেলতাম আমরা? বছরে একটা টেস্টও পেতাম কি-না সন্দেহ। সেই জায়গায় এখন টানা খেলা, এত খেলা খেলোয়াড়দের ওপর ফিজিক্যাল ও মেন্টাল প্রেশার। সেই জায়গায় যারা সিনিয়র, তাদের জন্য এটা কষ্টকর। তারা তো ব্রেক পাচ্ছে না। আমরা নতুন খেলোয়াড়দের পাচ্ছি না, তাসকিনকে পাচ্ছি না। সে ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ফার্স্ট বোলার। মিরাজ এসেছিল অলরাউন্ডার হিসেবে, সেও নাই; সাকিবও নাই। তাই কিছুটা সমস্যা তো হবেই। তবে এতদিন ধরে যাদের ডেভলপ করছি সামনের জায়গাগুলো পূরণ করার জন্য, তাদের জন্য, নতুন খেলোয়াড়দের জন্য এটা একটা বিরাট সুযোগ। তারা যেন এখানে ভালো খেলতে পারে-এটাই আশা করছি’।

সারাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের ২০টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি বলেন, প্রায়োরিটি লিস্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম আছে। ঢাকায় ২টি জায়গা দেখা হয়েছে, ফাইনাল সিলেকশন করবো। চট্টগ্রামেও জায়গা দেখার কথা। সিলেটেও জায়গা দেখা হচ্ছে। আগামি এক-দেড় মাসের মধ্যে জায়গা নিশ্চিত করতে পারবো। চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের একাডেমি হচ্ছে, নকশা দেখেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখান থেকে অনেক ছেলেকে জাতীয় দলে পাবো। ‘সবচাইতে বড় কথা-দেশে খেলা। অনেক শক্তিশালী দলও আমাদের এখানে খেলে জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকেও হারিয়েছি বাংলার মাটিতে। এখানেও আমাদের ছেলেরা ভালো খেলবে’ বলেন নাজমুল হাসান পাপন।