দল থেকে বহিষ্কারের পর যা বললেন সাক্কু

দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়ার পর মুখ খুলেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত ৯টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গত ৪২ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। বিএনপি আমার রক্তে মিশে আছে। দল যে সিদ্ধান্তই নিক, আমি বিএনপি ছাড়ব না। আমি আমৃত্যু বিএনপির সঙ্গে থাকব, বিএনপিই আমার শেষ ঠিকানা।

এর আগ এর আগে আজ বিকেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাক্কু। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আজ আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগপত্রটি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরীর হাতে পোঁছানো হয়েছে। যার অনুলিপি কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দলকে বিব্রত না করার জন্যই স্বেচ্ছায় দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এরপরও দল আমার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত (আজীবনের জন্য বহিষ্কার) নিলে আমার কিছু করার নেই।

২০১২ সালে কুসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। সেই সময় সাক্কু দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন। পরবর্তীতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে পুনরায় তাকে বিএনপিতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের দ্বিতীয়বারের কুসিক নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন।

গত বছরের ডিসেম্বরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে মনিরুল হক সাক্কুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।