মুশফিকের সাফল্যের রহস্য জানালেন সিডন্স

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে আলোচনায় ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দেশের জার্সিতে সব সংস্করণে খেলা না খেলা নিয়ে চারদিকে ছিল আলোচনা-সমালোচনা। অসময়ে ওঠা এমন প্রশ্নের দাঁতভাঙা জবাব মুশফিক দিয়েছেন ব্যাট হাতে। চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও সেঞ্চুরি। শের-ই-বাংলায় ডাবলও পেতে পারতেন, কিন্তু সঙ্গী যে কেউ ছিলেন না। তাই ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে শতকের তাৎপর্য যে অনেক! ২৪ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের, সেখান থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখে এনে দিয়েছেন ৩৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর!

মুশফিকের দক্ষতা কিংবা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিন্তু এই সিরিজে নামার আগেও ছিলেন ছন্দহীন। এর আগে সবশেষ ১০ টেস্টে ছিল ৪টি ফিফটি,ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তার পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নিজেকে ফিরে পেতে মুশফিক শরনাপন্ন হয়েছিলেন গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। তাকে আলাদাভাবে নিয়ে কাজ করেছেন ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স।

ছোট খাটো কিছু সংযোজন-বিয়োজন তার সাফল্যের পরামর্শ বলে মনে করেছেন সিডন্স। ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে চট্টগ্রামে বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট পেয়েছিলাম। মুশফিক চমৎকার খেলোয়াড়। তার ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি কিছু দরকার পড়ে না। আমরা তার প্রস্তুতিতে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনেছি, তার পা নিয়ে কিছু কাজ করেছি। যা যথেষ্ট মনে হয়েছে।’- বলেছেন সিডন্স।

তিনি আরো বলেন,‘চট্টগ্রামে সে নিজেই পথ খুঁজে নিয়েছে, দারুণ ব্যাট করেছে। আমি মনে করি, এই ম্যাচের সেঞ্চুরিটি তার অন্যতম সেরা ইনিংস। সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আমার কাজটা হলো তাদের পথ সহজ করা। তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ৩-৪ বছর অবশ্যই সেরা ফর্মে কাটানো উচিত। গ্রাফটা নিম্নমুখী হলে চলবে না। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তাদের ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা সেগুলো নিয়েই কাজ করছি।’

সিডন্স যেন একটা বার্তাও দিয়ে রেখেছেন মুশফিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের। দরকার হলে অনুশীলনে নতুন কিছু সংযোজন-বিয়োজন হবে, কিন্তু সেরা ফর্মে থাকা চাই। এই মন্ত্রেইতো মুশফিক যেন ছিনিয়ে নিয়ে আসেন সাফল্য।