কুড়িগ্রামের উলিপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার (৫০) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
উলিপুর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ কবির মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আদম শুমারির জন্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে ওই নারীকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন।
সকাল ৯টায় ওই নারী আইডি কার্ড নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান।
পরে ওই নারী ধস্তাধস্তি করে কোনোরকমে ঘর থেকে বের হয়ে একটি অপরিচিত অটোতে উঠেন। বেকায়দা দেখে চেয়ারম্যান আতা দৌড়ে গিয়ে ওই অটোতে উঠে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি জানাজানি হলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। এরপর আত্মগোপনে চলে যান অভিযুক্ত চেয়ারম্যান।
অভিযোগের বিষয়ে থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ওই গৃহবধূর অভিযোগ সত্য নয়। তাদের পারিবারিক একটি বিষয় মীমাংসা করে দিয়েছি। এ রায় তাদের বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষোভ থেকে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এলাকার লোকজন বিষয়টি জানেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন, ওই গৃহবধূ ঘটনার দিন জরিপের কাজে তার বাড়িতে এসেছিলেন। সেদিন তার পরিবারের লোকজন বাড়িতেই ছিলেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ কবির জানান, মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য