বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ‘এ’ দলের মোড়কে খেলতে গিয়েছেন ক্যারিবিয়ানে। প্রথম আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন সৌম্য-মিঠুনরা। সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ২৩.২ ওভারে মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে স্বাগতিকরাও হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। অ্যান্ডারসন ফিলিপের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন নাঈম শেখ (০)। টিকতে পারেননি অপর ওপেনার সাইফ হাসানও। শেরমন লুইসের ইন সুইং ডেলিভারিতে উইকেটকিপার জশুয়া ডি সিলভার কাছে ক্যাচ দেন সাইফ। ৫ বলে করেন ৬ রান। অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। নার্ভাসনেস কাটিয়ে যেই হাতখুলে খেলতে যাবেন, তখনই আউট হয়ে গেলেন। বিজ্ঞাপন ফিলিপের বলে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন সৌম্য। ২০ বলে তিন বাউন্ডারিতে তার অবদান ১৫ রান। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। জাস্টিন গ্রিভসের বলে উইকেটের পেছনে ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়ে মিঠুন ফেরেন ১২ রানে। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাব্বির রহমান থামেন ৩ রানে। টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৪ রান করে আউট। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও নাঈম ইসলাম শূন্য রানে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫০/৮-এ। দলীয় ৬২ রানে নবম উইকেট হারায় সফরকারীরা। আউট হয়ে ফেরেন রাকিবুল হাসান (৫)। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলীর ৪১ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ৮০ পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার জাস্টিন গ্রিভসের। ২টি করে উইকেট নেন শেরমন লুইস এবং অ্যান্ডারসন ফিলিপ। অল্প পুঁজি নিয়ে পেসারদের নৈপুণ্যে ভালোই লড়াই করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩৫ রানের ওপেনিং জুটির পর ইনিংসের অষ্টম ওভারে দুই বলের ব্যবধানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ফেরান জশুয়া ডি সিলভা (১৭) এবং টেডি বিশপকে (০)। এরপর তাগেনারাইন চন্দরপলকে (২৩) আউট করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তার শিকারে পরিণত হন টেভিন ইমলাচও (৫)। ৯ রানের ব্যবধানে আলিক আথানেইজকে (১৯) হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আথানেইজের উইকেটটি নেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৭০ রানে পতন হয় ষষ্ঠ উইকেটের। শামার স্প্রিংগারকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। তবে ২৩.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
মন্তব্য