চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি!

এক চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করলেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি। পরে চাপের মুখে তা অবশ্য ফেরত দিয়েছেন। এর পর থেকে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

গত শনিবার সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের আশা ডেন্টাল কেয়ারে এই ঘটনা ঘটে।

ডেন্টাল কেয়ারের ডেন্টিস্ট সুধীর চন্দ্র রায় জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ছাতক পৌর শহরের মেডিকেল রোড এলাকার বাসিন্দা সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নয়ন দাশ অপু ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসান আহমদসহ ছাত্রলীগের ৬-৭ জন ক্যাডার নিয়ে নিয়ে তার ডেন্টাল কেয়ারে হানা দেয়। এ সময় নয়ন দাশ অপু তার সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ সম্বলিত একটি ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপু তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তিনি জিম্মি হয়ে পরিস্থিতি বুঝে ১১ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় দেন।

সুধীর চন্দ্র রায় আরও জানান, ঘটনাটি জানাজানি হলে ওইদিন তিনি আইনের আশ্রয়ের প্রস্তুতি নেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী বিষয়টি আপোষ মীমাংসার উদ্যোগ নিয়ে তার উদ্যোগে ১১ হাজার টাকা ফেরত এনে দেন।

এ ব্যাপারে ছাতক পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী জানান, প্রথমে নয়ন দাশ অপু ঘটনাটি অস্বীকার করে, পরে আমি নয়নকে মারধর করলে স্বীকার করে। বিস্তারিত ডেন্টিস্ট সুধীর চন্দ্র রায় বলবেন এর বেশি তিনি বলতে রাজি হননি।

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দে যুগান্তরকে বলেন, এ রকম অভিযোগ পাইনি, তবে কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নয়ন দাশ অপু জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সব মিথ্যা। ডেন্টাল কেয়ারের ডেন্টিস্ট সুধীর চন্দ্র রায়ের বিএমডিসির কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। তার (নয়ন দাশ অপু) রাজনৈতিক ছোট ভাইয়ের মায়ের দাঁতের ভুল চিকিৎসা করেন। এ জন্য তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।