এক বার্গারের দাম ৫ লাখ!

ইউরোপের এক রন্ধনশিল্পী পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বার্গারটি তৈরি করেছিলেন, যার দাম ৫ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম পাঁচ লাখ টাকারও বেশি। বার্গারটির এত দাম হওয়ার কারণ কী এবং কী রয়েছে তাতে?

জানা যায়, বার্গারটি তৈরি করেছেন যিনি তার নাম রবার্ট জান দে ভিন। তিনি নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দা। রবার্ট এক নামি দামি রেস্তরাঁর রন্ধনশিল্পী। মূলত, তার উদ্দেশ্য ছিল প্রতিদিন যে সাধারণ বার্গার খাওয়া হয়, তার একটু অন্যরকম চেহারা দেওয়ার। আর তাই তিনি তার এই বার্গারে ভিন্ন কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেলুগা ক্যাভিয়া, কাঁকড়া, স্প্যানিশ পলেতা ইবেরিকো (বিশেষ উপায়ে প্রস্তুত করা মাংস), সাদা ট্রাফল, ইংল্যান্ডের বিশেষ চিজ, সবচেয়ে দামি কফি দানা থেকে বানানো বার্বিকিউ সস ও অত্যন্ত দামি শ্যাম্পেন।

ক্রেতাও জুটে গিয়েছে সহজেই। ওই দেশেরই রেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের সংস্থা কিনে নিয়েছে ওই দামি বার্গারটি। এটি খেয়েছেন ‘রয়্যাল ডাচ ফুড’ সংস্থার সভাপতি রোবের উইলেমস। বার্গার বিক্রি থেকে আয় করা টাকাটি দান করা হয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে।

কিন্তু বার্গারটির দামতো পাঁচ লাখ টাকা, এত টাকার বার্গার কে কিনবে। এটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি রন্ধনশিল্পী রবার্টকে। ওই দেশেরই রেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের সংস্থা কিনে নিয়েছে ওই দামি বার্গারটি। আর তার বানানো বার্গারটি খেয়েছেন রয়্যাল ডাচ ফুড সংস্থার সভাপতি রোবের উইলেমস। বার্গার বিক্রির টাকাটি দান করা হয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে।

রবার্ট জান দে ভিন নিজের ইনস্ট্রাগ্রামে বার্গারসহ ছবি দিয়ে লিখেছেন, মহামারীর কারণে সব রন্ধন প্রতিযোগিতা বন্ধ। এই সময় মনমেজাজ বেশ খারাপ ছিল। নতুন কিছু একটা করতে চাচ্ছিলাম। তাই এই বার্গার তৈরি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা