আইসিইউতে থেকেও নাশকতা মামলার ১নং আসামি বিএনপির নেতা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় থানা পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। তাছাড়া এক বিএনপি নেতা হাসপাতালের আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন থেকে নাশকতা মামলার এক নম্বর আসামি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে গায়েবি মিথ্যা মামলার আসামি করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। গত ২৯ নভেম্বর যুবলীগ নেতা আ. খালেক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মামসুদুর রহমান খান স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রেজাউল করিম ও শহিদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

ভুক্তভোগী জানান, গত ২৫ নভেম্বর থেকে সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আ. কদ্দুস খান মাখন (৬৫) রাজধানীর একটি আভিজাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমনকি ২৭ নভেম্বর রোববার রাতে তার বুকে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের পর আইসিইউতে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে অচেতন থেকেও নাশকতা মামলায় তিনি ১নং আসামি। 

তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সরকার জানান, ১০ তারিখের সমাবেশ বানচাল করতে মিথ্যা গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। সাটুরিয়াতে নাশকতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ রাষ্ট্রীয় বাহিনী হয়ে তারা একটি দলের পক্ষে কাজ করছে। প্রতি রাতেই বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। গ্রেফতারের ভয়ে শতাধিক নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।  

সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।