উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে থামাতে চায় সেনেগাল

কাতার বিশ্বকাপে নক-আউট পর্বের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতে মাঠে নামবে সেনেগাল ও ইংল্যান্ড। বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি।

গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকেই শেষ ১৬-তে পা রেখেছে হ্যারি কেইনের দল। আর দুই জয়ে ৬ পয়েন্টে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নক-আউটে সেনেগাল। বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রথম সাক্ষাৎ স্মরণীয় করে রাখতে রোববার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় আল বায়েত স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে থ্রি লায়ন্স ও তেরাঙ্গা লায়ন্সরা।

মরুর বুকে বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় শিরোপার উঁচিয়ে ধরার লক্ষে ইনফর্ম স্কোয়াড নিয়ে মাঠ মাতাচ্ছে থ্রি লায়ান্সরা। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ফিল ফোডেন, মার্কাস রাশফোর্ড, রাহিম স্টার্লিং-বুকায়ো সাকারা। তবে ইংলিশ কোচের চিন্তার অন্যতম কারণ আক্রমণভাগে হ্যারি কেইনের সঙ্গে কে থাকবেন। গ্রুপ পর্বে ৩ গোল করে সর্বাধিক গোলের তালিকায় মার্কাশ রাশফোর্ড ইংলিশদের শক্তির আভাস দিচ্ছেন।

দলে ইনজুরি না থাকায় কিছুটা স্বস্তিতেই রয়েছে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তবে তার চিন্তার কারণ সেনেগালিজদের বর্তমান ফর্ম। তার মতে, দলের সেরা ফুটবলার সাদিও মানে না থাকলেও সেনেগাল দল হিসাবে দারুণ। সাদিওকে হারিয়ে তারা আরও স্ট্রং হয়েছে।

অন্যদিকে আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরাও দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তবে তাদের ভয়ের কারণ কোচ আলিউ সিসের অসুস্থতা। ম্যাচের আগে অনুশীলনে দলের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। আর উড়তে থাকা ইংলিশদের থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন আলিউ সিস।

ইংলিশদের সঙ্গে ম্যাচে ইদ্রিসা গুয়ে ও কোয়াতেকে পাচ্ছে না লায়ন্স অব তেরাঙ্গারা। তাদের জায়গা একাদশে ফিরতে পারেন কালিদু কোলিবালি ও আবদু দিয়ালো। আর আক্রমণভাগে সেনেগালিজদের বাজির ঘোড়া হতে পারেন ইসমাইলা সার।