বাদাম খেলে কমবে ওজন!

নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, জীবনযাপনের অনিয়ম, তেলযুক্ত খাবার খাওয়া ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। ওজন একবার বেড়ে গেলে তা সহজে কমানো কষ্টকর হয়ে যায়। আর ওজন কমানোর ডায়েটে তাই অনেক খাবারের সঙ্গে বাদামকেও বিদায় জানাতে হয়। অনেকেরই ধারণা, বাদাম শরীরের বাড়তি মেদ জমাতে সাহায্য করে আর তাই ডায়েট চার্ট থেকে বাদামকে দূরে রাখেন তারা।

কিন্তু বাদাম কি আসলেই ওজন বাড়ায়? গবেষণায় কি বলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গবেষণা বলছে, ওজন বাড়াতে নয় বরং ওজন কমাতে বাদামের ভূমিকা অপরিহার্য। শুধু গবেষকরা নয়, পুষ্টিবিদরাও একই কথা বলছেন। বাদাম বহু গুণে সমৃদ্ধ। শরীরকে চাঙা রাখা, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো এসব কিছুতেই বাদাম এগিয়ে। কিন্তু বাদাম যে ওজন কমাতে পারে, সেই গুণটি এতদিন অনেকেরই জানা ছিল না। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার হাত ধরে তা প্রকাশ্যে এসেছে।

গবেষণা আরও জানাচ্ছে, বাদাম ওজন বাড়িয়ে দেয় সে বিষয়টি একদম বাদও দেওয়া যাবে না। কারণ, ১০০ গ্রাম বাদামে রয়েছে ৫৬৭ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ১৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৫০ গ্রাম ফ্যাট। এর পাশাপাশি বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা ৬ ফ্যাট। বাদাম খেলে অবশ্যই শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করে। কিন্তু শুধু এই কারণে ডায়েট থেকে বাদাম বাদ দিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে টি অ্যাসিডও ভরপুর মাত্রায় রয়েছে।

বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ রয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ, যা ওজন কমানোর জন্য একেবারে আদর্শ। ডায়েট করলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি করে রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। শুকাতে চাইলে তাই চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন বাদাম, মোটা হওয়ার কোনো ভয় নেই।

পুষ্টিবিদরা জানান, বাদাম মানেই উপকারী। প্রতিদিন সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাসে ওজন থাকবে হাতের মুঠোয়। সেই সঙ্গে চিনাবাদাম এবং কাজুবাদামও খুবই উপকারী। শুকাতে চাইলে সেগুলোর ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন।

প্রোটিন আর ফাইবারের পরিমাণ যেহেতু বেশি, ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে বাদাম। অফিসে কাজের ফাঁকেও খেতে পারেন বাদাম। এতে পেটও ভরবে, আবার ওজনও বাড়বে না।