বিচারকের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’: ভিডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে বিচারককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অশালীন আচরণের ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকারও আহ্বান জানান। 

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আদালত ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামের ব্যাখ্যার ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

গত ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। 

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।