পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন

পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে জনসমক্ষে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, পা থেকে এমন গন্ধ বেরনো ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের লক্ষণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ের গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসরণ হলে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, হাইপার হাইড্রোসিসে ভুগছেন বলে ধরে নেওয়া হয়।

শীতকালে এ সমস্যা বেশিই থাকে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ঘাম এবং পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ চিহ্নিত করতে প্রথমেই রোগীর ইতিহাস জেনে নিতে হয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ অসুখজনিত। ঘাম কমাতে ড্রাই কেয়ার লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

সাধারণত কিশোর-কিশোরীরা প্রচুর ঘামে। এর কারণ হরমোনের পরিবর্তন। তাছাড়া ডায়াবেটিস বা ছত্রাক সংক্রমণের মতো অন্তর্নিহিত সমস্যা থাকলে ও এমন ব্যক্তিরা ঘামলে তাদের গা বা পা থেকে গন্ধ বেরতে পারে। ত্বকের ব্যাধি হাইপারহাইড্রোসিস থাকলেও প্রচুর ঘামের সমস্যা হতে পারে। গা থেকে দুর্গন্ধও বেরতে পারে।

অপরদিকে কিডনির সমস্যায় যখন রক্তে অতিরিক্ত ইউরিয়া উৎপন্ন হতে শুরু করে, তখন ঘাম থেকে ভিনেগারের মতো গন্ধ বেরতে পারে। কারণ মানুষের ত্বকে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে ইউরিয়া ওই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এমন কিছু যৌগে ভেঙে যায়; যা থেকে ভিনিগারের মতো গন্ধ বের হয়।

দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে যা করবেন

১. হালকা গরম পানি দিয়ে দিনে অন্তত দু’বার পা ধুতে হবে।

২. পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার একটি প্রধান কারণ ঘাম। সুতরাং, পা পরিষ্কার এবং শুকনো রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্যবহৃত মোজা না ধুয়ে ব্যবহার করবেন না। জুতো পরার আগে তা শুকনো কি না খেয়াল রাখুন।

৩. সুতির মোজা পরুন। মোজা একটু আর্দ্র হলে পরিবর্তন করুন। অতিরিক্ত মোজা সঙ্গে রাখুন।

৪. অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট যুক্ত অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্যবহার করুন। ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে টক গন্ধও চলে যাবে।

উপরিউক্ত ব্যবস্থাগুলি কাজ না করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।