বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটক

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ইনস্টিটিউটের শিল্পী রশিদ চৌধুরী ছাত্র হোস্টেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০৪ নম্বর কক্ষ থেকে কিছু গাঁজাও উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের ফলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় চারুকলার শিক্ষার্থীদের পুলিশের সহায়তায় চারুকলায় অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডি। অভিযান চলাকালে বহিরাগত এক যুবক মোবাইলে ভিডিও করায় তার মোবাইলও জব্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি।

জানা গেছে, আটককৃত ওই ছাত্রী অনুমতি ছাড়াই ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করছিলেন। নিয়মানুযায়ী হোস্টেল ওয়ার্ডেনের অনুমতি ব্যতীত রাতে কিংবা দিনে কোনো সময়ই ছাত্রীরা ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির ভয়েই ছাত্রীটি হোস্টেলের কক্ষে প্রবেশ করেছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

চারুকলা ইন্সটিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুসময় বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের এক জুনিয়র মেয়েকে রিসিভ করে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বান্ধবী হোস্টেলের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হুট করেই পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি প্রবেশ করে সবাইকে যার যার রুমে চলে যেতে বলেন। তখন আমাদের বান্ধবী ভয় পেয়ে সামনে যে রুমটি পেয়েছে সে রুমেই ঢুকে পড়েছে’।

আটককৃত ছাত্রীকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘অভিযান চলাকালে ছাত্রদের হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আমরা স্বল্প পরিমাণ গাঁজা ও বহিরাগত এক যুবকের মোবাইল ফোন জব্দ করেছি’।

প্রসঙ্গত, মূল ক্যাম্পাসে ফেরাসহ কয়েকটি দাবিতে ৮২ দিন আন্দোলনের পর ২৩ জানুয়ারি শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। তখন চার দফা দাবি জানিয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়ায় মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।