দানি আলভেসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তার স্ত্রীর

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দানি আলভেসের। সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশের কাছে আটক হয়ে জেলে রয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। তারপর থেকেই বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক এই তারকা একের পর এক দুঃসংবাদ পেয়েই যাচ্ছেন। এবার আলভেস বড় দুঃসংবাদ শুনলেন তার স্ত্রীর ও মডেল জোয়ানা সানজের কাছ থেকে।

আলভেসের বিরুদ্ধে স্পেনের এক নাইটক্লাবে পার্টি করার সময় এক নারীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে বার্সেলোনার এক থানায় হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হন তিনি। তখন স্বামী আলভেসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী জোয়ানা। কিন্তু আলভেসের বিরুদ্ধে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। তাই এখন আর সংসার করতে চাইছেন না তিনি৷

স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, আলভেসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্ত্রী জোয়ানা সানজ। এজন্য কারাগারে আটক আলভেসকে এরই মধ্যে ফোন করে বিচ্ছেদে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তার স্ত্রী জোয়ানা সানজ। তবে বিষয়টি নিজে থেকে সামনে আনতে চাইছেন না তিনি৷

ঘটনার সূত্রপাত, গত ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বার্সেলোনার সাটন নামে এক নাইটক্লাবে পার্টি করার সময় দানি আলভেসের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ওই তরুণীর দাবি, ‘নাইটক্লাবে হঠাৎই দানি তাকে বিনা অনুমতিতে স্পর্শ করেন। এমনকি তার হাত নিজের অন্তর্বাসের মধ্যেও ঢুকিয়ে দেন আলভেস।’ এই ঘটনার জেরে নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীদের জানানোর পর পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও আগেই দানি আলভেস সেখান থেকে চলে যান। পরে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই তরুণী। তার ভিত্তিতেই গত ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় দানিকে।

এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পরও প্রথমদিকে স্বামী আলভেসের পাশে ছিলেন জোয়ানা। কিন্তু জেলে দানির সঙ্গে দেখা করতে গেলেও আলভেস তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। এরপরই দাম্পত্য জীবনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন জোয়ানা। ফলে তাদের পাঁচ বছরের সংসার এখন ভেঙে যাওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনকি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে আলভেজের সঙ্গে নিজের প্রায় সব ছবিই মুছে ফেলেছেন জোয়ানা। এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জোয়ানা বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছেন, ‘যখন খবর পাওয়া যায় না, তখন তো খবর তৈরিই করতে হয়।’

এদিকে ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল তার সর্বশেষ মেক্সিকান ক্লাব পুমাস। জেলের মধ্যে বসেই এমন দুঃসংবাদ শুনেছিলেন বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক এই তারকা। চুক্তি লঙ্ঘণ করায় আলভেসের কাছে মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে ক্লাবটি।