‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ শক্ত অবস্থানে’

‘বাংলাদেশ বিজসেন সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধনী দিনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থানে।’

শনিবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই বিজনেস সামিটে তিনি এ কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি, করোনা পরবর্তী সময় অর্থনৈতিক অবস্থা মোকাবিলা করা, একইসঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এখানে বিদেশি বিনিয়োগের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের অন্যতম আয়োজন এই বিজনেস সামিট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো, নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তা করবে এই সামিট। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ আমাদের দেশের জন্য একইসঙ্গে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করবে। অনেকগুলো চ্যালেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আশা করি আমরা কঠোর বাণিজ্য প্রতিযোগিতাসহ নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করব। আমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী। সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো সম্ভাবনাময় খাত বাংলাদেশের আছে। অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে এসব দিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোলমডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। নতুন বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি করাসহ দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণে এই সামিট সহায়তা করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সুযোগ-সুবিধা আছে। এ দেশে অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে।