জমি বন্ধক রাখা টাকায় একাডেমিতে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হন তাওহিদ

তাওহিদ হৃদয়ের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নপূরণে মা জমি বন্ধক রাখেন। বিষয়টি জানতেন না হৃদয়ের বাবা। সেই টাকা নিয়ে ঢাকার বনশ্রীর একটি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন হৃদয়। নানা বাঁক পেরিয়ে তরুণ ব্যাটসম্যান এখন জাতীয় তারকা। 

শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় অভিষেকেই দেশের হয়ে (৯২) সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন তাওহিদ।

হৃদয়ের ম্যাচজয়ী ইনিংসের সুবাদে আইরিশদের বিপক্ষে ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়ে ১৮৩ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। 

এদিন খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, আমার আসল নাম হচ্ছে তাওহিদ হৃদয়। তবে সবাই আমাকে তৌহিদ বলে ডাকেন। আসলে তাওহিদ ডাকলে আমার ভালো লাগে। তাওহিদের সুন্দর একটা অর্থ আছে তো তাই। 

প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, যখন একাডেমিতে গিয়েছিলাম, অনেক কিছু আসলে ক্ষতি করেই গিয়েছিলাম। তারপর একটা সময় ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা ছিল না। পরিবার থেকে ওভাবে কখনো সাপোর্ট ছিল না, বাবার সাপোর্ট ছিল না, যদিও বাবা-মা খেলা বোঝেন না। যখন জেদ ধরতাম মায়ের সঙ্গে, তখন মা যতটুকু পেরেছেন আর কী চেষ্টা করেছেন।

তাওহিদ আরও বলেন, একটা সময় আমার খেলার ইচ্ছা ছিল না। সেই সময় খালেদ মাহমুদ সুজন স্যার আমাকে অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রথম বিভাগ খেলে আস্তে আস্তে উঠে এসেছি। 

২২ বছর বয়সী এই তারকা আরও বলেন, প্রতিটা বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়াই ভালো হওয়ার কথা। আমার বাবা-মাও খুশি হয়েছেন। আমার মা বিশেষ করে একটু বেশি খুশি হয়েছেন। উনি তো ছোটবেলা থেকেই আমাকে অন্যভাবে দেখেছেন। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য সবসময় চাপ দিত, কিন্তু আমি পড়াশোনার দিকে বেশি ফোকাসড ছিলাম না। যতটুকু পেরেছি, বেশির ভাগ সময় মাঠেই থাকতাম। আলহামদুলিল্লাহ, বাবা-মা খুশি হয়েছেন, আশপাশের আত্মীয়স্বজনরাও খুশি।