আরাভের সঙ্গে যে মিল খুঁজে পেলেন ফারুকী

খুনের মামলার আসামি আরাভ খানের কোটিপতি হওয়া নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ। মামলা হওয়ার পর গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় তার। হয়েছেন প্রতিষ্ঠিত সোনা ব্যবসায়ী। তাকে ধরতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে।

এদিকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বাস্তবের এই আরাভ চরিত্রের সঙ্গে নিজের নির্মিত ‘ফোর টোয়েনটি’ ধারাবাহিক নাটকের ‘মন্টু’ চরিত্রের মিল খুঁজে পান। নাটকটি ২০০৭-০৮ সালের দিকে নির্মাণ করেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের গহিন গোপন অসুখের নামই রবিউল! বায়োপসি করলে দেখা যাবে এই অসুখের তলে লুকিয়ে আছে কোন সব জীবাণু! আমি তাকে দেখি ‘ফোর টোয়েনটি’র মন্টুর ভিন্ন ভার্সন হিসেবে। বিভিন্ন লাইভে এসে যে সে তার ক্ষমতার অশ্লীল দম্ভ দেখাচ্ছিল, সেটাও হয়তো জীবাণুর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি তার ছুড়ে দেওয়া প্রশ্ন। প্রত্যেকটা রাষ্ট্র কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়।’

তিনি আরও লেখেন, ‘যখনই সেখানে কোনো অনিয়ম হয়, তখনই সেটা রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দুর্নীতি হলে, টাকা লুটপাট হলে, মানুষের হক কেড়ে নিলে, বিনা বিচারে মানুষ মারলে, বিচার না হলে—এ রকম অনিয়মের যত বড় তালিকা করেন, প্রত্যেকটা অনিয়মই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। রবিউলের কেসও সেরকমই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দেখার বিষয়, রাষ্ট্র সেই প্রশ্নের কী উত্তর দেয় এবং বায়োপসিতে কে বা কারা বের হয়ে আসে। পপকর্ণ নিয়ে আমরা গ্যালারিতে বসলাম।’

ফারুকী তার স্ট্যাটাসে একটি ফুটনোট দিয়েছেন। তিনি লেখেন,

দুইটা পাঠ করার মতো জিনিস:

১. কেউ কেউ এটাকে শ্রেণি সংগ্রামের বিজয় হিসাবে দেখছেন। আবার সেই একই লোক তার কথিত গডফাদারদের লুটপাটের কড়া সমালোচক।

২. সাংবাদিকদের গালিগালাজের মাধ্যমে সে মোটামুটি জনতার নায়ক হিসাবে নিজেকে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও কিছু সাংবাদিক দুর্দিনেও নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করতেছেন, তারপরও সমষ্টিগতভাবে সাংবাদিক সমাজের প্রতি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস একটা খেয়াল করার মতো জিনিস।

প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে সোনার দোকান চালু করে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যে বাংলাদেশি, সেটা দুবাইসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রায় সবাই জানতেন। এমনকি বিনোদন জগৎসহ সেখানকার বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ওই তরুণের সরব উপস্থিতি ছিল। ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছিলেন।