আমি এখানেই থামতে চাই না: রোনাল্ডো

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পর্তুগালের বিদায়ের পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য সহজে ভোলার নয়। সেই কান্নায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশার সঙ্গে ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সমাপ্তির কষ্টও। 

এরপর সময় গড়িয়েছে অনেক। নতুন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো। কোচ বদলের পর আবার ফিরেছেন জাতীয় দলে। 

এতদিন পর এসে রোনাল্ডো স্বীকার করলেন, বিশ্বকাপে পর্তুগালের শুরুর একাদশে জায়গা হারানোর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দেওয়ার ভাবনা তার মাথায় এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৩৮ বছর বয়সি পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্তিনেজ তার সামর্থ্যে আস্থা রাখার পর রোনাল্ডোর উপলব্ধি, দেশকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে তার। লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ২০২৪ ইউরো বাছাই অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল। 

এই ম্যাচের আগে রোনাল্ডো শোনালেন ম্যানইউর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিশ্বকাপে শুরুর একাদশে জায়গা হারানোর সেই কঠিন সময়ের গল্প, ‘বলতে কোনো দ্বিধা নেই, খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। অবসরের চিন্তা মাথায় এসেছিল। 

কিন্তু পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর উপসংহারে পৌঁছি যে, পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, হাল ছাড়ব না। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখেছিলাম আমি। কে আপনার পাশে আছে, সেটা বোঝার জন্য এমন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে মাঝে মধ্যে যেতে হয়। ভালো-মন্দ যাই করি, জীবন চলে যায়। এটা আমার অভিযাত্রার একটি অংশ।’

লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে মাঠে নেমেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ১৯৭ ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড গড়েছেন রোনাল্ডো। 

এই রেকর্ডই তার অক্লান্ত ছুটে চলার জ্বালানি, ‘রেকর্ডই আমার অনুপ্রেরণা। আমি এখানেই থামতে চাই না। রবার্তো মার্তিনেজের সঙ্গে কথা বলার পর উপলব্ধি করেছি, জাতীয় দলকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। এটাই আমার চাওয়া। পর্তুগালের জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি।’