রানার্সআপ মেডেল গ্যালারিতে ছুড়ে মারলেন মরিনহো

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার নিজের ষষ্ঠ ফাইনালে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন হোসে মরিনহো। আগের পাঁচটি ফাইনালে শতভাগ সাফল্য পাওয়া ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ প্রথমবারের মতো পেলেন হারের স্বাদ। ইউরোপা লীগের ফাইনালে সেভিয়ার কাছে পরাস্ত হলো মরিনহোর দল। ম্যাচ শেষে রানার্সআপের মেডেল গ্যালারিতে ছুড়ে মারেন তিনি। মরিনহোর ভাষ্য, পরাজয়ের স্বীকৃতি প্রয়োজন নেই তার। ইউরোপা লীগের ফাইনালে টাইব্রেকারে সেভিয়ার কাছে হারে এএস রোমা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর ডাগআউটের পেছনের গ্যালারিতে থাকা এক শিশুকে উদ্দেশ্য করে নিজের মেডেলটি ছুড়ে মারেন হোসে মরিনহো। সেই ঘটনা স্বীকার করে পর্তুগিজ কোচ মুভিস্টারকে বলেন, ‘হ্যাঁ, এটাই আমি করেছি। সিলভার মেডেলের কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এটি আমি চাই না। রানার্সআপ পদক নিজের কাছে রাখি না। এজন্যই দিয়ে দিয়েছি।’ ২০২১ সালে রোমায় যোগ দেয়ার আগে বেনফিকা, এফসি পোর্তো, চেলসি, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ ছিলেন মরিনহো। ২০০২-০৩ মৌসুমে পোর্তোর হয়ে প্রথম উয়েফা কাপ জেতেন তিনি। পরের মৌসুমে পোর্তোকে চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতান মরিনহো। ২০০৯-১০ সালে ইন্টার মিলানকে ইউসিএল জেতান তিনি। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ম্যানইউর হয়ে জেতেন ইউরোপা লীগ এবং গত মৌসুমে রোমাকে উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লীগ জেতান দ্য স্পেশাল ওয়ান। অর্থাৎ, কোচিং ক্যারিয়ারে যে কয়টি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেছেন মরিনহো, সবকটিতেই জয় পেয়েছিলেন। এবার ইউরোপা লীগের হার তাই মানতে পারেননি তিনি। শিরোপা হাতছাড়া হলেও মৌসুমে রোমার ছন্দময় পারফরম্যান্সে খুশি মরিনহো। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত, তবে গর্বিত। আমি সবসময়ই বলি, একটা ফুটবল ম্যাচ হারা যায়, কিন্তু মর্যাদা ও পেশাদারিত্ব হারানো যায় না। এই ম্যাচ হেরেছি কিন্তু যে কোনো সময়ের চেয়ে বেএই মৌসুমে ছেলেরা নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিয়েছে।’ ম্যাচ হারের পেছনে রেফারি রেফারি অ্যান্থনি টেইলরের দায়ও দেখছেন হোসে মরিনহো। তিনি বলেন, ‘তীব্র লড়াই, পেশিশক্তির ও ঘটনাবহুল ম্যাচ ছিল এটি, যেখানে রেফারিকে মনে হয়েছে স্প্যানিশ। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখিয়ে চলেছিলেন তিনি। আমাদের ম্যাচে রেফারির এমন প্রভাবে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, নতুন কিছুই নয়। তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে তা আশা করিনি।’