আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন চার পুলিশ কর্মকর্তা

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন চার পুলিশ কর্মকর্তা।রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আরিফুর রহমান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রুবেল ও শাহ আলম এবং সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) এনামুল। 

নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করার সময় চার পুলিশ কর্মকর্তাই উপস্থিত। মামুন হত্যাকাণ্ডের পর তার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে আদালতকে চার সাক্ষী জানান। আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। 

এর আগে গত ২১ মার্চ এই মামলায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। কারাগার থেকে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। 

পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে রাজধানীর বনানী মডেল থানার একটি বাড়ির দোতলায় খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রায়দিয়া রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের আওতায় আসা কিশোরী মেহেরুন্নিসা স্বর্ণা ও ফারিয়া বিনতে মিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এ অভিযোগপত্রটি পাঠানো হয়।

রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। সম্প্রতি অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।