বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গত সোমবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাচ্ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী। সোমবার ভোর ৪টা ১৬ মিনিটে ওই ফ্লাইটে ওঠার আড়াই ঘণ্টা পর তিনি অসুস্থ হন। পরে সকাল ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ তাকে মৃত হিসেবে প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেন ওই ফ্লাইট সংশ্লিষ্টরা। ফ্লাইট লগেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। তবে ফ্লাইটের পাইলট ওই ব্যক্তির জন্য মেডিকেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে অবতরণের কোনো পদক্ষেপই নেননি। তিনি ফ্লাইট চলমান রেখে এ রকম ঘটনার আনুমানিক ৯ ঘণ্টা পর বিমানটি বিকাল ৪টা ১৬ মিনিটে (জিএমটি) হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করান। আর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট পর ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কোনো যাত্রী যখন রানিং বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তার মেডিকেল জরুরি অবস্থা প্রয়োজন হয় তখন মেডিকেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিষয়টি পার্শ্ববর্তী কোনো বিমানবন্দরে জানিয়ে জরুরি অবতরণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রতিটি বিমানবন্দর এ রকম পরিস্থিতিতে মেডিকেল জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকে। বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোকে সতর্ক রাখা হয় এবং এম্বুলেন্স ও প্যারামেডিকদের বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়। যাত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও পাইলট কাছের কোনো বিমানবন্দরে অবতরণ কেন করা হয়নি জানতে চাইলে পাইলট-ইন-কমান্ড ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, জরুরি অবতরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে বাঁচানো, জানাজার ব্যবস্থা করা নয়।
মন্তব্য