কমলগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ; আহত ১২

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার(১৪ মে) বেলা দেড়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিপুল অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম রাজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব হোসেন অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন মুন্নাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার(১৪মে) বেলা ১ টার দিকে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ গেইটে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব গ্রুপের মুন্না, নাইম, নাহিদসহ আরও কয়েকজনের সাথে সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল গ্রুপের রাফি, টিপু ও সায়েমের কথাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। মুহুর্তেই সংঘর্ষ পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ লাঠি ও চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল এবং সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব উভয়েই যার যার সহযোগীদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। খরব পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই চম্পক ধাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কলেজ ক্যাম্পাসে আসলেও পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারন করে। সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের কমলগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম, রাফি, সোহাগ, নয়ন তানভীর, সামাদ, জয় ও সাফি আহত হন। উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক গ্রুপের সাব্বির হোসেন মুন্না, নাইম, নাহিদ, কামরুল ও রফি আহত হন। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, সম্পাদক গ্রুপের সাব্বির হোসেন মুন্নার বড় ভাই ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন পান্না ও তার সহযোগীরা রাফি ও হাকিমের উপর হামলা করে। হামলায় হাকিম মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন। তার দাবি, সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব ও জাকির হোসেন পান্না পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কলেজের পরিবেশ অশান্ত করার জন্য হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সাকের আলী সজিব বলেন, ১৩ মে কলেজে ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। আজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল ছাত্রদলের কয়সর, জুলিসহ অন্যান্যদের সেল্টার দিয়ে ছাত্রলীগের মুন্না, নাহিদ, নাইমদের উপর হামলা করেছে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ন অপ্রত্যাশিত। গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পুলিশকে অবগত করা হলেও তারা আসতে দেরী করে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে বিষয়টি বড় হতো না। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সজিব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা গেছে। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোকতাদির হোসেন পিপিএম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।