সন্দেহ থেকে সন্ধান মিলে

জুড়ী প্রতিনিধি:: স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহ করে আটকায়। ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে থানায় আনেন ওসি তদন্ত। তাঁর সন্দেহ হয় ছেলেধরা নয়, মানসিক রোগী। পরম মমতায় দীর্ঘক্ষণ তার সাথে কথা বলে বাড়ীর ঠিকানা উদ্ধারে সক্ষম হন। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় পরিবারের সাথে কথা বলেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হন। রোববার সকালে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় সাড়ে চার বছর থেকে নিখোঁজ তাইজ উদ্দিনকে। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ী এলাকায় স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে একজনকে আটকিয়ে থানায় ফোন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রæত সেখানে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার কথাবার্তায় মনে হয় সে মানসিক সমস্যায় ভোগছে। দীর্ঘক্ষণ তার সাথে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে তাইজ উদ্দিন (২৫) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার টেপিরবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র। শ্রীপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তার পরিবারের খুঁজ মিলে। ভিডিও কলের মাধ্যমে তার পরিবার তাইজ উদ্দিনকে সনাক্ত করে। রোববার সকালে জুড়ী থানায় আসেন তাইজ উদ্দিনের বড় ভাই আজিজুর রহমান। তার নিকট তাইজ উদ্দিনকে তুলে দেয়া হয়। আজিজুর রহমান জানান, প্রায় সাড়ে চার বছর পূর্বে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় গিয়ে সেখান থেকে তাইজ উদ্দিন নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার কোন সন্ধান মিলেনি। আজ তাকে ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত ও জুড়ী থানা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি একটি চক্র সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়াচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। গণপিঠুনিতে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। তাই গুজবে কান না দেয়া ও আইন হাতে তুলে না নিয়ে সন্দেহ জনক কিছু হলে দ্রæত থানায় জানানোর জন্য জনসাধারণকে সচেতন করা হয়। সে সুবাধে তাইজ উদ্দিনকে ছেলেধরা সন্দেহে লোকজন আটক করলেও কেহ তার শরীরে আঘাত করেনি। নিখোঁজ তাইজ উদ্দিনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারায় আনন্দিত।