খাসোগি হত্যা: যুবরাজের সহযোগীসহ ২০ সৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক দুই সহযোগীসহ অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তুর্কিশ কৌঁসুলিরা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এই সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। এতে হত্যা মিশনে সৌদি স্কোয়াডের ১৫ সদস্য অংশ নেয়। এখন পর্যন্ত তার মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি।- খবর ডন অনলাইনের খাসোগির বিরুদ্ধে অভিযান ও তাকে হত্যায় আততায়ী দলকে নির্দেশ দেয়ায় সৌদি আরবের উপগোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল-আসিরি ও রাজকীয় আদালতের মিডিয়া জার সৌদ আল-কাহতানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের অভিযানে জামাল খাসোগি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে আসছে রিয়াদ। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সরাসরি সম্পৃক্ততার দাবি করে আসছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত ও তুরস্ক। যদিও সেই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তুর্কি কৌঁসুলিদের এই সিদ্ধান্তকে ‘ন্যায়বিচারের পথে একটি ভালো পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন নিহত ওই সাংবাদিকের বাগদত্তা খাদিজা সেনজিজ। যারা এই হত্যাকাণ্ডে দায়ী তাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিরেক্টর অব ইন্টেলিজেন্সের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র যাতে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত চালায়, তিনি সেই দাবিও করেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি ব্যাখায় খুশি হতে না পেরে নিজস্ব তদন্ত চালিয়েছে তুরস্ক। দেশটি বলছে, জামাল খাসোগির সত্যিকার খুনিদের বিচারের আওতায় না এনে ওইসব কর্মকর্তাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ধনাঢ্য ও প্রভাবশালীরা আইনের ঊর্ধ্বে বলে বিশ্বকে ভুল বার্তা দেয়া হয়েছে। ইস্তানবুলের কৌঁসুলির অফিস জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে এক দানবীয় হত্যাকাণ্ডে উসকানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আসিরি ও কাহতানির বিরুদ্ধে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বৈরী সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।