তালাক নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তালাককে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের পূর্ব চর কপালবেড়া গ্রামে।

আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের পূর্ব চর কপাল বেড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের মেয়ে মোসা. লাবনী বেগমের সঙ্গে ৭-৮ মাস আগে একই এলাকার সোহরাব মৃধার ছেলে সোহেল মৃধার (২২) বিয়ে হয়।

বিয়ের পরপরই লাবনী নানার বাড়ি চরকলমী চলে যায় এবং সোহেলকে গোপনে তালাক দেয়। লাবনী বাড়ি এলে শনিবার বিকালে সোহেল লোকজন নিয়ে লাবনীর চাচার কাছে গোপনে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে জানাতে চান।

তালাক সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় মেয়ের চাচা কামাল হাওলাদার ও বশারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দেশি অস্ত্র নিয়ে সোহরাব মৃধা (৫০), সবুজ মাতুব্বর (৩৫), বাচ্চু মাতুব্বর (৪৫), সোহেল মৃধার (২২) ওপর হামলা করে। অপরদিকে কামাল হাওলাদার (৪৫), সুরমা বেগম (২৫), ইয়ানুর বেগম (৪০), সাহিনুর বেগমসহ (৫০) অন্তত ১০ জন আহত হন।

আহত সোহরাব মৃধা জানান, আমার ছেলেকে তালাক দেওয়ার পর আমি মেয়ের চাচার কাছে তালাকের বিষয়ে জানতে চাইলে আমার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে আমাকেসহ ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

লাবনীর চাচা কামাল হাওলাদার জানান, আমাদের ভুল বুঝিয়ে ৭-৮ মাস আগে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। লাবনী নানার বাড়ি গিয়ে ১ মাস আগে সোহেলকে তালাক দিলে সোহেল ও তাদের লোকজন আমাকে মারধর করে।

গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।