ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম থেকে বিয়ে হয় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শ্রাবণী (১৭) ও হাসিবুরের। বিয়ের তিন মাসের মাথায় পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে নববধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে ঘটেছে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

শ্রাবণী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের ফারুক শেখের মেয়ে। স্বামী হাসিবুর বিশ্বাস তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শ্রাবণীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

ঘটনার পর থেকে স্বামী হাসিবুর ও তার পরিবারে সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, যাদবপুর গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে কলেজছাত্র হাসিবুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্রাবণীর ফেসবুকে পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে তা গভীর প্রেমে রূপ নেয়। তাদের প্রেমের ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে প্রায় মাস তিনেক আগে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের কয়েক দিন পার হতে না হতেই তারা পারিবারিক কলহে জডিয়ে পড়ে। শুরু হয় তার ওপর পাষণ্ড স্বামীর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন। তারই একপর্যায়ে শনিবার ৬টার দিকে হাসিবুর শ্রাবণীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, শ্রাবণী হত্যার সঙ্গে জড়িত তার পাষণ্ড স্বামী হাসিবুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলছে। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।