একাই ১২৯ সন্তানের বাবা!

একটি, দুটি নয়–১২৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত অংক শিক্ষক। তার আরও নয়টি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে স্বাভাবিক উপায়ে নয়, শুক্রাণু দানের মাধ্যমে এসব সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি।

ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত অংক শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের শুক্রাণু দান করেন বলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে ক্লাইভ জোন্স জানান, আমি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর শুক্রাণু দাতা। ১২৯ জন শিশু এরই মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে। পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় আছে আরও নয়টি শিশু।

১২ বছর ধরে শুক্রাণু দান করে আসা ক্লাইভ আরও বলেন, আমি আরও কয়েক বছর এই শুক্রাণু দান চালিয়ে যেতে চাই। আমার ইচ্ছা ১৫০ জন সন্তানের বাবা হওয়ার। সন্তানবিহীন পরিবারগুলোতে ‘খুশি’ ছড়িয়ে দিতে ক্লাইভ ফেসবুকের মাধ্যমে শুক্রাণু দান শুরু করেন।

তিনি বলেন, আমি অনেক ক্লিনিক এবং শুক্রাণু ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানি। কিন্তু তারা দান করে না, বীর্য বিক্রি করে।

তিনি আরও বলেন, আমি সন্তান পেয়ে ভীষণ খুশি মায়েদের যে বার্তাগুলো পাই সেগুলো দেখলে হয়তো মানুষ বিষয়টি বুঝতে পারবে। আমি সেই খুশি অনুভব করতে পারি। একবার এক দাদি তার নাতনিতে মেয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল।

৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ বলেন, ৫৮ বছর বয়স থেকে শুক্রাণু দান শুরু করেন। এ কাজের জন্য ফেসবুক বেছে নেওয়ার কারণ হলো তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রাণু দান করতে পারবেন না। কারণ যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক ভাবে শুক্রাণু দানের সময়সীমা ৪৫ বছর পর্যন্ত। এর বেশি বয়সী কেউ দেশটিতে শুক্রাণু ব্যাংকের মাধ্যমে শুক্রাণু দিতে পারবেন না।

কর্তৃপক্ষ অবশ্য জোনসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। যুক্তরাজ্যের মানব নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণবিদ্যা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, সব শুক্রাণু দাতা এবং রোগীদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমেই এই পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়া উচিত।