সুন্দরবনের দুবলার চরে মারা যাওয়া বাঘের ময়নাতদন্ত

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলার দুবলার চরের রূপারগাঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জেল হোসেন বাঘটির ময়নাতদন্ত করেন। তবে কী কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।

তোফাজ্জেল হোসেন জানান, পুরুষ প্রজাতির এ বাঘটি লেজসহ ৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থ। বয়স আনুমানিক ১৬ বছর হবে। সবকটি দাঁত সুরক্ষিত রয়েছে। বাঘটির হৃদপিণ্ড, চামড়া, দাঁত, নখ, মাংস ও খাদ্য নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফরেনসিক রির্পোটের পরে নিশ্চিত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বাঘ সাধারণত ১৫-১৬ বছর বেঁচে থাকে। তাই বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘটির মৃত্যু হতে পারে।

বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বন বিভাগের স্মার্ট টহল দল দুবলার রূপারগাঙ্গ এলাকায় বাঘটি মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের জানায়। ওই দিন রাতেই বাঘটি উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওয়ার্ল্ড লাইফের কর্মকর্তাসহ বাঘ বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে তিনি জানান।

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে একটি, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কোকিলমনির কবরখালি থেকে একটি এবং ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট কটকা অভয়ারন্যের ছাপড়াখালি থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করে বন বিভাগ।