নতুন ইসলামী দলের আত্মপ্রকাশ

জাতীয় উলামা কল্যান পরিষদ নামে নতুন একটি ইসলামী দলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

দলটির আমীর করা হয়েছে আড়ারদাহ হামিউল সুন্নাহ মাদরাসার প্রধান মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি আব্দুর রাজ্জাককে এবং মহাসচিব করা হয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট (মুফতি আমিনী) যশোর জেলার সেক্রেটারী মুহাদ্দিস শহিদুল ইসলাম ইনসাফীকে।

সম্মেলনে দলটির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ইনসাফী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।

শনিবার দুপুরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার আড়ারদাহ হামিউল সুন্নাহ মাদরাসা হল রুমে এক কাউন্সিলে দলটির আংশিক জাতীয় কমিটির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়া শহিদুল ইসলাম ইনসাফি।

কাউন্সিলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ১১ সদস্যের এবং ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে বলা হয় আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।

কমিটিতে নায়েবে আমীর করা হয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট চৌগাছা উপজেলা সভাপতি মাওলানা রুহুল কুদ্দুস ও আড়ারদাহ মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মুফতী মাহমুদুল হাসানকে। এছাড়া মাওলানা হুমায়ুন কবীরকে যুগ্ম-মহাসচিব, মাহবুবুর রহমানকে দপ্তর সম্পাদক, মুফতি মুশফিকুর রহমান ইনসাফীকে প্রেস-সম্পাদক, মাওলানা আবু সাঈদকে সহ-প্রেস সম্পাদক, মুফতি আব্দুল হাকিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতি ইয়াছিন ও মাওলানা ইশ্রাফিলকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জাতীয় কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও আড়ারদাহ হামিউল সুন্নাহ মাদরাসার প্রধান মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি আব্দুর রাজ্জাকের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মুহাদ্দিস শহিদুল ইসলাম ইনসাফী। অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমীর মাওলানা রুহুল কুদ্দুস এবং সহ-প্রেস সচিব মাওলানা আবু সাঈদ বক্তৃতা করেন। কাউন্সিলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উলামা-মাশায়েখরা অংশ নেন।

প্রধান বক্তা ও সংগঠনটির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ইনসাফী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় উলামা কল্যান পরিষদ অংশ নেবে। তিনি চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে এমপি পদে প্রার্থী হবেন। এরআগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শহিদুল ইসলাম ইনসাফী বিএনপি জোট থেকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে মনোনয়ন চান। তবে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদকে মনোনয়ন দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

উল্লেখ্য চৌগাছার আড়ারদাহ হামিউল সুন্নাহ মাদরাসায় প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন। মাদরাসাটির প্রধান মুফতি আব্দুর রাজ্জাক হেফাজতে ইসলামের মরহুম আমীর আল্লামা শফির অনুসারী হলেও মাদরাসাটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এরআগে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রকাশ্যে জড়িত ছিলেন না।