অনাস্থা ভোটে এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

বৃটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভোটে তার পক্ষে ভোট পড়ে ২১১টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। বেশ কয়েকটি কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসন চাপের মুখে ছিলেন। তবে সবথেকে আলোচিত ছিল লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে ডাউনিং স্ট্রীটে একাধিক পার্টি করার বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত যদিও এই দফায় উতরে যেতে পেরেছেন তিনি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি এই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোট দেন। এতে জনসনের পক্ষে রায় দেন বেশিরভাগ কনজার্ভেটিভ এমপি। ফলে আগামি এক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না। এই ফলাফলের পর শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
আমি আশা করি আমরা বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য করবো। নাদিম অবশ্য আগেই জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে'র বিরুদ্ধেও অনাস্থা ভোট হয়েছিল। তাতে যতজন এমপি তার বিরুদ্ধে ছিলেন, এবার জনসনের বিরোধীরা সংখ্যায় তার চেয়েও বেশি। সেই ভোটের ছয় মাস পর মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। জনসনের সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, এখন দলের পরিস্থিতি ভিন্ন। যদিও জনসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা সহজেই দূর হবে না। কনজারভেটিভ এমপিদের অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে কোনভাবে সমর্থন করা যায় না।