২৮ মানি চেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব

অর্থপাচারে জড়িত সন্দেহে ২৮টি মানি চেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ব্যাংক হিসাব তলব করা মানি চেঞ্জারগুলো হলো- নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জ, সিটি মনিটারি এক্সচেঞ্জ, বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ, মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ, নাবিলস মানি চেঞ্জার, হিমালয় ডলার মানি চেঞ্জার, ক্যাপিটাল মানি চেঞ্জার, মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জ, ডিপেনডেন্ট মানি চেঞ্জার, ঢাকা মানি চেঞ্জার, লর্ডস মানি চেঞ্জার, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ, ডিএন মানি চেঞ্জার, অঙ্কন মানি এক্সচেঞ্জ, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ, বিনিময় মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জ, কুমিল্লা মানি এক্সচেঞ্জ, এএসএন মানি চেঞ্জার, বিকেবি মানি এক্সচেঞ্জ, কেয়া মানি চেঞ্জার, আলফা মানি এক্সচেঞ্জ, ক্রিস্টাল মানি এক্সচেঞ্জ, দি লিয়াজোঁ মানি এক্সচেঞ্জ, উত্তরা মানি চেঞ্জার, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ ও বিজয় ইন্টারচেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার বেচাকেনায় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 জানা যায়, ২৩৫টি মানি চেঞ্জার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিলেও দেশের বাজারে ৭০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০-এর বেশি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয়। আর ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলনিয়ম অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে দিনশেষে ২৫ হাজার ডলারের বেশি থাকলে তা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ডলার বেচাকেনা, কতো ডলার বেচাকেনা তার তথ্য নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিতে হয়। তবে ব্যাংকের মতো এসব প্রতিষ্ঠানে জোর তদারকি না থাকায় অনেক মানি চেঞ্জার নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।া হয়েছে।