সাম্য ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলাম

সহিংসতা ইসলাম সমর্থন করে না। পছন্দও করে না। আল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করতে প্রয়াসী হয়ো না। (কারণ কি জানো?) কারণ আল্লাহতায়ালা অনর্থ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা কাসাস, আয়াত-মুমিন মুসলমানের উচিত আল্লাহতায়ালার অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। পবিত্র কুরআনে এসেছে, যারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে অর্থাৎ ইসলামের বিরুদ্ধে এবং দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়; তাদের শাস্তি হলো হত্যা কিংবা শূলে চড়ানো বা হস্তপদ কর্তন অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা। (সূরা মায়েদাহ, আয়াত

বুঝা গেল; ইসলাম সহিংসতা, সন্ত্রাস ও পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকে মোটেও সমর্থন করে না। তাই একই আয়াতে পর্যায়ক্রমে এতগুলো শাস্তির কথা বিবৃত হয়েছে। কারণ দাঙ্গা-হাঙ্গামা সমাজের এমনকি রাষ্ট্রের সব শান্তি বিদুরিত করে দেয়।

ইসলাম মানেই শান্তি। মানবতার কল্যাণে ইসলামের আগমন। সাম্য, শান্তি ও সম্প্রীতিই ইসলামে শিক্ষা। যারা ইসলামের নামে সহিংসতা করে বা অন্য ধর্মে আঘাত করছে তারা লেবাসধারী কিংবা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী। আজকাল সমাজ যেভাবে বিচার নিজ হাতে তুলে নিচ্ছে, এটাও ইসলাম সমর্থন করে না। কারণ এতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরও বেশি সৃষ্টি হয়। প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা জন্ম নেয়। এ জন্য ইসলাম বিচারক নির্ধারণ করেছেন।

আল্লাহ বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গতভাবে সাক্ষ্যদান কর অর্থাৎ বিচারকের কাছে সত্য সাক্ষী দাও। (সূরা নিসা, আয়াত ১৩৫)। ইসলাম বিচার কাজ সবার হাতে দিতে চায় না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তাই। ইসলামি শরিয়ত বা রাষ্ট্রীয়ভাবে সৎ বিচারক নিয়োগ অপরিহার্য।

কারণ, বিচারক সততার ওপর না থাকলে সমাজে আদৌ শান্তি আসবে না। যেমন কুরআন বলছে, কোনো সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনো ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। (কাহারো ওপর অবিচার করো না) সুবিচার কর। (সূরা মায়িদাহ, আয়াত৩৩)।