ওসমানীনগরের খসরু হত্যাঃ ১ মাস পরও আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ

সিলেট এসএমপির মোগলাবাজার থানাধীন কলারতল বাজারে মোটর সাইকেল দিয়ে ওসমানীনগরের খসরু মিয়া হত্যা মামলায় ঘটনার ১ মাস পরও রহস্য জনক কারণে আসামিদের গ্রেফতার করেনি মোগলাবাজার থানা পুলিশ। আসামিরা বাড়িতে থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোগলাবাজার থানা পুলিশ আসামিদের সাথে যোগসাজসে আসামিদের গ্রেফতার না করে মামলার বাদিকে আসামিদের সাথে আপোষ করার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপর নিহত খসরু মিয়ার স্ত্রী মোছাম্মত ফাতেমা তুজ জহুরা মনোয়ারা বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় মামলা দায়ের করলেও থানা পুলিশ রহস্য জনক কারণে ঘটনার ১৫ দিন পর ২১ অক্টোবর মামলা নথিভুক্ত করে। থানা পুলিশ মামলা নিলেও আসামিরাও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সহযোগিতায় বাদিকে আপোষ মীমাংসায় রাজি করানোর জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমতবস্থায় বাদি আসামিদের ভয়ে হীনমন্যতায় ভূগছেন বলে জানিয়েছেন। মামালা এবং স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ অক্টোবর ওসমানীনগর উপজেলার ধনপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. খসরু মিয়া আব্দুর রহমান তার ছোট বোন পারভীন বেগমকে নিয়ে দুপুর 12টার দিকে নিজ বাড়ী হইতে মোটর সাইকেল যোগে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় সিলেট নর্থইষ্ট' মেডিকেল এর উদ্দেশ্যে রওনা হন। মোটর সাইকেলটি মোগলাবাজার থানাধীন কলারতল বাজারস্থ দেলোয়ার হোসেন এর বাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর আসা মাত্রই পিছনে দিক থেকে এসে বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কলুমা গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে আনছার আলী ও একই গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে মোঃ আকতার আলী তাদের মোটর সাইকেল দিয়ে খসরু মিয়ার মোটর সাইকেলর পিছনে দিক হতে ইচ্ছাকৃত ভাবে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে আসিয়া সজোর ধাক্কা মারে। এসময় রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুটির(পিলার) এর উপর খসরু মিয়ার পড়লে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। এ সময় খসরু মিয়ার বোন পারভিন আক্তারও আহত হন। আহত খসরু মিয়া ও তার বোন পারভীন বেগম অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে পিছন থেকে আসা সিএনজি ড্রাইভার ও গাড়ীর যাত্রীরা ঘটনাস্থলের লোকজন খসরু মিয়া ও পারভীন বেগমকে চিকিৎসার জন্য সিলেট নর্থইষ্ট মেডিকেল নিয়া গেলে তাদের অবস্থা গুরুতর দেখিয়া উন্নত চিকিতসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হইয়া চিকিতসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৪ অক্টোবর সময় খসরু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে মোগলাবাজার থানা পুলিশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছে খছরু মিয়ার মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য মৃত দেহ মর্গে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার এস আই আব্দুল বাতেন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলা দায়েরে পর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।