দৃষ্টি ফিরে পেলেন ১৭২ চা শ্রমিক

বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন সিলেটের দুটি চা বাগানের ১৭২ জন চা শ্রমিক।

সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর এসব মানুষ চোখে ছানি পড়ার কারণে, দৃষ্টি হারিয়ে প্রায় পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় আবারও দৃষ্টি ফিরে পেয়ে খুশি এসব অসহায় শ্রমিক।

চায়ের উৎপাদন বেশি হওয়ায়, সিলেটকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে ধরা হয়। আর এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে, কয়েক লাখ চা শ্রমিক।

তবে উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান সিলেটের মালনীছড়া ও লাক্কাতুরার মোট ১৭২ জন চা শ্রমিক দৃষ্টি হারিয়ে প্রায় পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এতে শ্রমিকরা যেমন আর্থিক সংকটে পড়েন তেমনি চা উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েছিলেন বাগানের মালিকরা।

এসব শ্রমিকদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিলেটে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও নয়ন ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

বিনামূল্যে চোখে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলো ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

নতুন করে চোখের আলো ফিরে পেয়ে আবারও পুরোদমে কাজে ফিরতে পেয়ে দারুণভাবে খুশি ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

প্রাথমিক পর্যায়ে চা বাগানে সার্ভে চালায়, নয়ন ফাউন্ডেশন। সেখান থেকে চোখে ছানি পড়া রোগী চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসা করে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের চিকিৎসকরা।

সিলেট অঞ্চলের চক্ষু রোগীদের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে নতুন আরও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।

নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ বলেন, নয়ন ফাউন্ডেশন সিলেটে আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চক্ষু রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। অরবিস এর হয়ে সিলেট অঞ্চলের চক্ষু রোগীদের জন্য কাজ করবে নয়ন ফাউন্ডেশন।

চোখে আলো পেয়ে কেবল শ্রমিকরা ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হচ্ছে তা নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশের জিডিপিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।