মাসহ গৃহবধূকে আটকে নির্যাতন, উদ্ধারে গিয়ে আহত ১৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সীমু (২০) নামে গৃহবধূ, তার মাসহ পাঁচজনকে আটকে নির্যাতন করে এক যুবক ও তার পরিবার। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ১৫ জন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ৯ জনকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় অভিযুক্তরা পালিশুক্রবার দুপুরে রায়পুর পৌরসভার ভুইয়ারাস্তার মাথা-চরমোহনা সড়কের মধুপুর গ্রামের মুনসুর আলী মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- পারভেজ, লিজা আক্তার, হাসিনা বেগম, সীমু আক্তার, নজরুল ইসলাম, এমরান হোসেন, মো. ইয়াসিন, আলাউদ্দিন, মো. শাহিন, জাহিদ হোসেনসহ ১৫ জন। তাদের মধ্য গুরুতর জখম পারভেজ ও রিংকুকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

গৃহবধূ সিমু আক্তার ও কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে সীমুকে বিয়ে করেন চরমোহনা গ্রামের প্রবাসী হুমায়ুন কবির। তার এক মাস পর সীমুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে আসেন একই বাড়ির মাদকসেবী স্বপন হোসেন। এ ঘটনায় সীমুর পূর্বের স্বামী হুমায়ুন আদালতে মামলা করেন, যা এখনো চলমান। 

এরই মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে সীমুকে প্রতিদিন মারধর করে আসছেন স্বপন। বৃহস্পতিবার সীমু তার পিতার ঘরে চলে যায়। শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরের ঘরে সীমুকে আনতে যায় স্বপন। এ সময় সীমু যেতে না চাইলে শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ভায়রা পারভেজ হোসেনসহ ৫ জনকে মারধর করে তাদের ঘরেই আটক করে রাখেন স্বপন।

এ সংবাদ শুনে পারভেজকে উদ্ধার করতে তার পরিবার ও স্বজনরা সীমুদের বাড়িতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন স্বপনসহ তার পরিবার ও বাড়ির লোকজন। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে সীমু ও তার মা-বোনকে উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনার পর থেকে বখাটে স্বপন ও তার পরিবার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ অফিসার পাঠিয়ে সীমুসহ তার পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় বখাটে স্বপন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।