ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ইউএনও মিঠুন

একেকদিন একেকটি এলাকায় অসহায় গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত একজন ব্যক্তি।কখন ব্যক্তিগত, কখনোইবা অন্যদের সহযোগীতায় অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানে যেন তার প্রতিদিনের রুটিন।চলছে মাহে রমজান।সংসারের খাবার জোগাতে অনেকেরই বাড়িতে গিয়ে ইফতার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।তাদের জন্য বিশেষ এক উদ্যোগ নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

তিনি হলেন আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা।দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসবে।খুব অল্প সময়ে মানুষের কাছে আস্তাবাজন হয়ে উঠেছেন।এবার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি।উদ্যোগটি হচ্ছে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ।

পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই ইউএনও ব্যক্তিগত ও উপজেলার কর্মকর্তাদের এবং প্রবাসী, ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় প্রতিদিন দুইশ পথচারীর মধ্যে ইফতার বিতরণ করছেন।গরিব, রিকশাচালক, দিনমজুর ও পথচারীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করে মানুষের কাছে মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন।সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের আগ মুহূর্তে মানসম্পন্ন ইফতার পেয়ে খুশি দরিদ্র শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষেরা।

জানা যায়, পথচারী ও রিকশাচালক এবং অসহায় মানুষ ইফতার কিভাবে করে এমন ভাবণা আসে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনের মনে।পরে বিষয়টি নিয়ে নিজ উদ্যোগে উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে নিজেদেরে বেতেনের টাকা দিয়ে প্রথম রোজা থেকে ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়।এরপর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে প্রতিদিন এমন ২০০ পথশিশু, ছিন্নমূল, রিকশাচালক বা দিনমজুরকে ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে।যা পুরো রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, ইফতার বিতরণের বিষয়টি রমজানের পূর্বে আমার মাথায় আসে।পরে সকল কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করি এবং সবার বেতনের টাকা দিয়ে ইফতার বিতরণ চালু করি।এখন আমাদেরকে কার্যক্রমে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা সহযোগীতা করছেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ক্রয় ক্ষমতা রয়েছে।আমরা যাতে অপচয় না করে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করে বাকিটুকু যদি আশপাশের মানুষকে তাহলে সবাই ভালো থাকবে।আমার উদ্দেশ্য শ্রীমঙ্গলের মানুষ যাতে ভালো থাকে।তাদের সেবা করে যেতে চাই।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‌এমন অনন্য উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনের উদ্যোগ আরও প্রসারিত হোক এটাই প্রত্যাশা।