জুড়ীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ঈদ যত কাছাকাছি আসছে ততই বাড়ছে কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশী দেখা যাচ্ছে। তবে গতবারের তুলনায় কাপড়ের দাম বেশী হওয়ায় এবার বিক্রির পরিমাণ বেশী হলেও লাভ কম হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে কাপড়ের দাম বেশী রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। সোমবার বিকালে উপজেলার কামীনীগঞ্জবাজার ও ভবানীগঞ্জবাজার এলাকায় অবস্থিত মাহমুদ আলী শপিং সেন্টার, কিরণ স্কয়ার, নিউ মার্কেট, জমশেদ আলী শপিং সেন্টার, শরিফ কমপ্লেক্স, জামাল কমপ্লেক্স এ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানে উপচেপড়া ভিড় লেগেই আছে।

তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের বেশী দেখা গেছে। তবে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন জিনিসপত্রের দাম বিক্রেতারা গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ বেশী দাম নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি তাদেরকে বেশী দামে কাপড় কিনতে হচ্ছে। সেজন্য তারা বেশী দামে বিক্রি করছেন।

মাহমুদ আলী শপিং কমেপ্লেক্সের বসুন্ধরা ফ্যামিলি সেন্টার ও এম.বি বিলাস এর স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ জানান, ক্রেতারা জামা কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। তবে এবার বিক্রি বেশী হলেও লাভ কম হচ্ছে। কারন বেশী টাকা দিয়ে কাপড় কিনতে হচ্ছে, এজন্য বেশী দামে কাপড় বিক্রি করা লাগছে। তবে আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন সাধ সাধ্যের মধ্যে কাপড় কিনতে পারে। সেভাবেই আমরা কাপড়ের সমাহার ঘটিয়েছি। তাছাড়া আমরা চেষ্টা করছি অল্প মুনাফায় কাপড় বিক্রি করতে।

শরিফ কমপ্লেক্সের মাহী কসমেটিকসের মালিক আশরাফ মোহাম্মাদ আরিফ বলেন, বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। তবে এবার কসমেটিক্স বেশী দামে কিনতে হচ্ছে, এজন্যও দামও একটু বেশী।