মুসলিম দেশগুলোকে অন্তত ‘সীমিত সময়ের জন্য’ ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইসরাইলের বিরুদ্ধে খাদ্য ও তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানোর কয়েক সপ্তাহ পর মুসলিম দেশগুলোর প্রতি নতুন এ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।খামেনি বলেছেন, কিছু ইসলামি দেশ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি অপরাধের নিন্দা জানিয়েছে। অনেক মুসলিম দেশ কিছুই করেনি। এটা অগ্রহণযোগ্য। ইসরাইলকে জ্বালানি ও পণ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করাই ইসলামি দেশগুলোর প্রধান কাজ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ইসলামি দেশগুলোর অন্তত সীমিত সময়ের জন্য ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।
গত ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে ইসলামি সহযোগী সংস্থার (ওআইসি) ও আরব লীগের যৌথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যাপক পরিসরে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির আহ্বানে সাড়া দেয়নি মুসলিম দেশগুলো। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তারা।
রাইসি বলেছিলেন, গাজা সংঘাত নিয়ে আর কোনো কথায় কাজ হবে না। গাজায় এখন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আজ ইসলামি দেশগুলোর ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে দেখা করেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ওই বৈঠকে খামেনি হামাস প্রধানকে জানিয়ে দেন, ইরান হামাসের হয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। কারণ গত ৭ অক্টোবর ইরানকে না জানিয়েই হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়।
সরাসরি যুদ্ধ না করলেও হামাসকে নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানান আয়াতুল্লাহ খামেনি। তবে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ তারা করবেন না।
মন্তব্য