গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে বিপাকে ইসরাইলি সেনারা

ছবি সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সেনাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ সম্প্রতি হিব্রু সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপকভাবে একটি অন্ত্ররোগে আক্রান্ত। তাদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, সবার মাঝে আমাশয় উৎপাদক শিগেলা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এতে সেনারা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বেড়ে যাচ্ছে তাদের শরীরের তাপমাত্রা। ফলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সেনাদের মধ্যে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ব্যাধি হামাসযোদ্ধাদের মধ্যেও সংক্রমণ হতে শুরু করেছে। এতে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।

এক স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, এই ব্যাকটেরিয়াটি আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সহজেই অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া খাবারের মাধ্যমেও এর সংক্রমণ ঘটে।

তবে সেনাদের সেবায় থাকা কর্মীরা এর জন্য আইডিএফ প্রেরিত খাদ্যকে দায়ী করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, গাজায় প্রেরিত খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা না করেই পাঠানো হয়। তাই সেনাদের মাঝে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

সেনাদের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব স্বীকার করেছেন সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। তিনিও এর জন্য গাজায় প্রেরিত খাদ্যকে দায়ী করেন।

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর আশকেলনে রকেট হামলা করেছে হামাস। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরাইলি মিডিয়া সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট আশকেলনের একটি ভবনে আঘাত হেনেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার আগে আশকেলনে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছিল।

এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বড় ধরনের গণহত্যা। এ আগ্রাসন বন্ধ করা উচিত।

দোহায় অনুষ্ঠিত উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কাতার আমির বলেন, ইসরাইলের দখলদার বাহিনী সব রাজনৈতিক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে। তাদের এই জঘন্য অপরাধকে অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের আপন ন্যায্য দাবির প্রতি অবিচল থাকার জন্য প্রশংসা করা উচিত। একই সঙ্গে একটি পূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানানো উচিত।

এদিকে গাজায় ইসরাইলি সেনা নিহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফ জানিয়েছে, সোমবার হামাসের হামলায় আরও তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে আরও দুজন নিহত হয়েছিল। এতে সোমবার মোট নিহতের সংখ্যা পাঁচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস আক্রমণের আগে ইসরাইলি ঘাঁটির পূর্ণাঙ্গ নকশা পেয়েছিল বলে ধারণা করছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। তারা বিশ্বাস করে, সফল গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে হামাসের তা হস্তগত হয়েছিল।

সূত্র: জর্দান নিউজ