ফেরিডুবির কারণ জানালেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় রজনীগন্ধা ফেরিতে ছিদ্র দিয়ে পানি ঢোকায় ডুবে গেছে। আজ বুধবার সকালে এ ফেরির বেঁচে যাওয়া ১৪ যাত্রীর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন এ কথা বলেছেন। তারা বলছেন, কোনো বাল্কহেডের সঙ্গে ফেরিটির সংঘর্ষ এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তারা এবং কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রাথমিকভাবে বাল্কহেডের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষের কথা বলেছিলেন।

এ ফেরির যাত্রীরা বলেন, কুয়াশার কারণে ফেরিটি আটকা পড়ে। এ সময় আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। হঠাৎ ফেরির এক কর্মচারী চিৎকার করে বলেন, ফেরিতে পানি ঢুকছে। তিনি আমাদের নদীতে ঝাঁপ দিতে বলেন। তারা আমাদের কোনো লাইফ জ্যাকেট বা কিছুই দেননি। আমি নদীতে ঝাঁপ দেই, সাঁতরে জীবন বাঁচাই।

তারা বলেন, রাত দেড়টার দিকে ফেরিটি আটকা পড়ে এবং কেউ কেউ বলছিল ফেরি ডুবোচরে আটকে গেছে কিন্তু জানতে পারি, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা ফেরিতেই ছিলাম। পরে ফেরির এক কর্মী আমাদের জানান, এটি ডুবে যাচ্ছে। ফেরিতে ধীরে ধীরে পানি ওঠে এবং একপর্যায়ে ডুবে যায়।

যাত্রীরা বলেন, কোনো সংঘর্ষ হয়নি, আমরা কোনো আওয়াজও শুনিনি।

সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী রজনীগন্ধা ফেরিটি টার্মিনাল-৫ এর কাছে ডুবে যায়। 

এ ঘটনায় আজ বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফেরির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবির (৩৯) নিখোঁজ আছেন।

যোগাযোগ করা হলে (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে শুনেছি বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত শেষ হওয়ার পরে বলা যাবে।