বাজেটকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সাথে সিলেট চেম্বারের মতবিনিময়

নন্দিত  ডেস্ক  :  আসন্ন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহবায়ক মো. হিজকিল গুলজার, পরিচালক জিয়াউল হক, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, চন্দন সাহা, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সিলেট জেলা সিএন্ডএফ এজেন্ট গ্রুপের সভাপতি শাহ্ আলম, সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম শফিকুর রহমান, সিলেট জেলা রড সিমেন্ট ঢেউটিন মার্চেন্ট গ্রুপের সভাপতি মো. মজলু মিয়া, ব্যবসায়ী জুবায়ের রকিব চৌধুরী, ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ খসরু, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, মো. আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, মুকির হোসেন চৌধুরী, মো. আতিক হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক মো. বশিরুল হক, ব্যবসায়ী নুর মো. আদনান, মো. মঞ্জুর আল বাছেত, এম শহিদুল ইসলাম, শেখ মো. আজাদ, ভানু চন্দ্র পাল, কামরুল ইসলাম কামরুল প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবনা প্রেরণ করে থাকে। এসব প্রস্তাবনায় সিলেটের প্রেক্ষাপট এবং এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে প্রস্তাব/সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি জানান, আগামী ১২ মে ২০১৮ইং তারিখে সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ের একটি প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উক্ত সভায় আলোচনার জন্য ব্যবসায়ীদের যেসব দাবী-দাওয়া রয়েছে তা লিখিতভাবে চেম্বার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি। সভায় বক্তারা করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার করা, করদাতার নীট সম্পদ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সারচার্জ মওকুফ এবং ৫ কোটি টাকার অধিকে হলে ৫% সারচার্জ আরোপ করা, আয়কর রিটার্ন দাখিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করে করদাতাকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অর্জিত লভ্যাংশের উপর বিদ্যমান কর হ্রাস করে ১০% নির্ধারণ করা, ব্যাংক ঋণ ও সুবিধাদি সহজে পাওয়ার লক্ষ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে গণ্য করা, ভোগ্যপণ্য পরিবেশকদের উপর ভ্যাট আরোপ না করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উৎসে কর আদায় করা, কয়লা আমদানীকারকগণ অগ্রিম ভ্যাট জমা দিয়ে কয়লা আমদানি করেন বিধায় কয়লা বিক্রয়ের উপর ৪% অগ্রিম ভ্যাট বা এটিভি প্রদানের বিধান বাতিল করা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীগণ যেসব সার্জিক্যাল আইটেম ও মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টের উপর ভ্যাট গ্রহণের বিধান নেই, সেসকল পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ না করা এবং ভ্যাট ট্যাক্স এর আওতা বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান।