কুলাউড়া প্রতিনিধি:: কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের স্কুলছাত্র ৯ বছরের পলাশ শব্দকরের হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) স্থানীয় জনতা বাজারে উক্ত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধিবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ একাত্মতা পোষণ করে উপস্থিত হোন।
পলাশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রাহেল আহমদ, জাহেদ আলী ও তার পিতা মিরজান আলী পুলিশের হাতে আটক হলেও এ ধরণের নির্মম হত্যাকান্ডের দায়ে তাদের ফাঁসির দাবি জানান উপস্থিত জনতা।
এসময় বক্তারা বলেন, হত্যাকারী পরিবার এলাকায় খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত। তাদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও সাবেক মেম্বার আব্দুল জলিলের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য ছালিক আহমদ, জমশেদ আলী, মহিলা ইউপি সদস্য বৃন্দা রানী গোয়ালা, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সভাপতি আজিজুল ইসলাম, শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথ, প্রভাষক আফাজুর রহমান চৌধুরী, শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্রনেতা জীবন রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ, ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান, সালাউদ্দিন আল সালোক প্রমুখ।
মানববন্ধনে নিহত স্কুল ছাত্র পলাশ শব্দকরের বাবা পরিমল শব্দকর ও পলাশের মা উপস্থিত হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পরিমল শব্দকর তার বক্তব্যে বলেন, ঘাতকদের সাথে আমার বা আমার ছেলের কোন বিরোধ ছিলো না। তারপরও তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আর যেন এভাবে কোন মায়ের বুক খালি না হয়। তিনি হত্যাকারিদের ফাঁসি চান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে পলাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলো। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পলাশ স্থানীয় শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বালিশ্রী গ্রামের রিকশাচালক পরিমল শব্দকরের ছেলে।
মন্তব্য